[t4b-ticker] এনসিপি’র আত্মপ্রকাশে সরকারি বাস ব্যবহার! টিআইবি’র উদ্বেগ - Dhaka Flash



ব্রেকিং নিউজ:
আজ : ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা : মার্চ ১, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    এনসিপি’র আত্মপ্রকাশে সরকারি বাস ব্যবহার! টিআইবি’র উদ্বেগ

    সরকারি বাস ব্যবহারে টিআইবি’র উদ্বেগ

    সরকারি বাস ব্যবহারে টিআইবি’র উদ্বেগ

    নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা ফ্ল্যাশ

    এনসিপি’র আত্মপ্রকাশে সরকারি বাস ব্যবহারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, টিআইবি)।  দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকার বাইরে অন্তত একটি জেলা থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের জন্য সরকারিভাবে পরিবহন বাস রিকুইজিশন (হুকুম-দখল) করার ঘটনায় এ উদ্যোগ জানায় সংস্থাটি। টিআইবি জানায়, এনসিপির জন্মলগ্নেই এ ধরনের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিকতার দায় অন্তর্বর্তী সরকার এড়াতে পারে না। একইসঙ্গে ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ ও ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’-এর ব্যানারে এ ধরনের কর্তৃত্ববাদী পুরোনো চর্চা পরিহার করার জন্য এনসিপি ও তার সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।

    শনিবার (০১ মার্চ) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী-জনতার অভূতপূর্ব আত্মত্যাগের বিনিময়ে সূচিত ‘নতুন বাংলাদেশে’-এর অভীষ্ট অর্জনের আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানকারী শিক্ষার্থীদের হাত ধরে নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব কর্তৃত্ববাদ পতন-পরবর্তী বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ তরুণ নেতৃত্বের হাতে গঠিত নতুন রাজনীতির প্রতি মানুষের প্রত্যাশাও অপরিসীম। এই প্রত্যাশা পূরণের পূর্বশর্ত হিসেবে দলটিকে একেবারে শুরুতেই বাস রিকুইজিশনের এ নজির ও তার নেতিবাচক প্রভাবকে ‘রেড এলার্ট’ হিসেবে গ্রহণ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ জাতীয় গতানুগতিক আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড ও আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।

    এনসিপির অনুষ্ঠানে সরকারি বাস নিয়ে আসার ঘটনায় টিআইবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন দলের আত্মপ্রকাশে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের ঘটনাটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ বিষয়ে প্রেস সচিবের ব্যাখ্যা থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। ড. ইফতেখারুজ্জামান জামান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের গড়া এই নতুন রাজনৈতিক দল জিরো-সাম রাজনীতি নির্ভর ক্ষমতার অপব্যবহারের হাতে জাতীয় জিম্মি দশা থেকে এদেশের উত্তরণের সম্ভাবনা ও ইতিবাচক গণতান্ত্রিক চর্চা বিকাশে সহায়ক হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই নতুন নেতৃত্বের চর্চা ও আচরণে পতিত কর্তৃত্ববাদী বা কোনো প্রকার ক্ষমতার অপব্যবহারের পুনরাবৃত্তি তাদের প্রতি জনমনে বিরূপ ধারণার জন্ম দেবে এবং নতুন বাংলাদেশের জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক বোধ ও চেতনা বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে।’

    টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও মনে করেন, ‘রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধিত্ব ও সরকার পরিচালনায় একচ্ছত্র আধিপত্যের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী আচরণের সংস্কৃতির পরিবর্তনে নতুন রাজনৈতিক দল মূল অনুঘটকের ভূমিকা রাখবে, দেশবাসী এমন আশা করবে। তবে, সবকিছুই নির্ভর করবে, নতুন দল এদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন লালিত ক্ষমতার অপব্যবহারের চর্চা থেকে কতটুকু দূরে থাকতে পারবে, তার ওপর।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব সব পর্যায়ে যে কোনো রাজনৈতিক মহলকে সব প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া থেকে বিরত থাকা।’

    টিআইবির বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির উদ্ভব বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তবে, এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য দলটিকে অবশ্যই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নৈতিকতার উচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখতে হবে। নতুন দল হিসেবে এনসিপির সামনে এখনই চ্যালেঞ্জ হলো, তারা কীভাবে তাদের রাজনৈতিক চর্চা ও আচরণে গতানুগতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের চর্চা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে।

    ড. ইফতেখারুজ্জামান জামান আরও বলেন, ‘নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির সামনে এখনই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো, তারা কীভাবে তাদের রাজনৈতিক চর্চা ও আচরণে গতানুগতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের চর্চা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে। এজন্য দলটিকে অবশ্যই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নৈতিকতার উচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখতে হবে।’

    টিআইবির বিবৃতিতে শেষে বলা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপির উদ্ভব বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তবে, এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য দলটিকে অবশ্যই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নৈতিকতার উচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখতে হবে। নতুন দল হিসেবে এনসিপির সামনে এখনই চ্যালেঞ্জ হলো, তারা কীভাবে তাদের রাজনৈতিক চর্চা ও আচরণে গতানুগতিক ক্ষমতার অপব্যবহারের চর্চা থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে পারে এবং জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে।