আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তি পিছিয়ে জুনে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ফ্লাশ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় পিছিয়ে গেছে। আগামী জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির প্রস্তাব একসঙ্গে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে চতুর্থ কিস্তির প্রস্তাব উত্থাপনের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১২ মার্চে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেটিও আর হচ্ছে না। বরং জুনে দুই কিস্তির প্রস্তাব একসঙ্গে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ সোমবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “আমরা বলেছি যে আমাদের কিছু কাজ আছে। তাই আমরা অত তাড়াহুড়ো করছি না। আইএমএফের শর্ত পূরণের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব তাগিদেও কাজ চলছে।”
চতুর্থ কিস্তিতে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তবে অর্থ উপদেষ্টা জানান, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ইতিবাচক থাকায় ঋণ নিয়ে মরিয়া হয়ে উঠতে হচ্ছে না।
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে মোট ২৩১ কোটি ডলার। প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পাওয়া যায় ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পায় ডিসেম্বরে। আর তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে গত জুনে।