[t4b-ticker] আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রেস সচিব - Dhaka Flash



ব্রেকিং নিউজ:
আজ : ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার প্রকাশ করা : এপ্রিল ২, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রেস সচিব

    আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রেস সচিব

    আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রেস সচিব

    নিউজ ডেস্ক, ঢাকা ফ্ল্যাশ

    অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বর্তমান সরকার এখন অনেক বেশি সংগঠিত ও গোছানো। তিনি জানান, আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    শফিকুল আলম বলেন, “বর্তমান সরকারের কাজকর্ম এখন অনেকটা পরিপাটি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আগে উদ্বেগ ছিল, কিন্তু এখন তা উন্নতির দিকে। রমজানজুড়ে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ছিল, এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সরকার এখন অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত।”

    প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “স্যার বলেছেন, আমরা এখনও যুদ্ধপরিস্থিতিতে আছি। তবে গত আগস্টের তুলনায় আমরা অনেক এগিয়েছি।”

    ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক সুনাম সম্পর্কে শফিকুল আলম বলেন, “তিনি বিশ্বব্যাপী একজন সেলিব্রিটি। গত সাড়ে সাত-আট মাসে আমি তা আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করেছি। ডাভোসে তার সঙ্গে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে চেয়েছিলেন—এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য!”

    নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে তিনি বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো স্বল্পসংস্কারে রাজি হয়। অন্যথায়, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে যেকোনো সময়—ফেব্রুয়ারি, মার্চ বা তার পরেও—নির্বাচন হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিতে রয়েছে।”

    প্রধান উপদেষ্টার বিদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি সব দেশেই বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরছেন। তার বার্তা একটাই—বাংলাদেশ এখন ‘রেডি ফর বিজনেস’। এই আহ্বানে ইতিবাচক সাড়াও মিলছে।”

    ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে শফিকুল আলম বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, আগামী ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ একটি ধনী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।”

    প্রেস সচিবের দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, “আগে এই পদটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র ছিল, কিন্তু এখন এটি একটি সক্রিয় ভূমিকা। আমাকে নিয়মিত ব্রিফিং করতে হয় এবং তথ্য সংগ্রহে সতর্ক থাকতে হয়।”

    অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষে তার পরিকল্পনা সম্পর্কে শফিকুল আলম বলেন, “আমি এখনো তা নিয়ে ভাবিনি। হতে পারে সাংবাদিকতায় ফিরে যাব, কিংবা নিজেই কোনো মিডিয়া প্রকল্প শুরু করব। রাজনীতিতে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।”

    তিনি আরও যোগ করেন, “নতুন বাংলাদেশ গঠনে আমি অবদান রাখতে চাই, তবে আমার মূল লক্ষ্য সাংবাদিকতায় ফিরে যাওয়া।”