[t4b-ticker] খালেদা জিয়ার এক রোগ নিয়ন্ত্রণে এলে বাড়ছে আরেকটি; লিভার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কিডনি নিয়ে উদ্বেগ - Dhaka Flash



ব্রেকিং নিউজ:
আজ : ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, বুধবার প্রকাশ করা : ডিসেম্বর ৯, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    খালেদা জিয়ার এক রোগ নিয়ন্ত্রণে এলে বাড়ছে আরেকটি; লিভার নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কিডনি নিয়ে উদ্বেগ

    খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থার কাঙ্ক্ষিত উন্নতি নেই

    খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থার কাঙ্ক্ষিত উন্নতি নেই

    নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা ফ্ল্যাশ:

    বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থায় কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসেনি। তাঁর উন্নতি খুবই মন্থর গতিতে হচ্ছে। বর্তমানে প্রধান সমস্যা হলো, এক ধরনের জটিলতা কাটিয়ে উঠার পরেই নতুন অন্য জটিলতা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘদিনের লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, তাঁর কিডনির অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ড উদ্বিগ্ন। চিকিৎসকদের বোর্ড ভাবছে না যে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে।

    ৮০ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, এবং কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটায় গত ২৭ নভেম্বর তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।

    দেশি-বিদেশি প্রায় দুই ডজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন সভা করে তাঁর চিকিৎসা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করছেন। সোমবার সন্ধ্যায় বোর্ডের এক চিকিৎসক জানান, “ম্যাডামের উন্নতি হচ্ছে, তবে তা বিশেষ লক্ষণীয় নয়। বয়সের কারণে সুস্থ হতে তাঁর সময় লাগবে। এবার তাঁর উন্নতি খুব ধীরগতিতে হচ্ছে। একাধিক জটিল রোগ থাকায় একটির অবস্থা ভালো হলে অন্যটি প্রকট হচ্ছে। লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কিডনির জটিলতায় তিনি অনেক কষ্ট পাচ্ছেন। কিডনির ক্রিয়েটিনিন মাত্রা বেশ আগেই সীমা অতিক্রম করেছে। এটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে, যেখানে বয়স একটি বড় ফ্যাক্টর। তাঁকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস দিতে হচ্ছে। ডায়ালাইসিস বন্ধ করলেই কিডনির অবস্থা খারাপ হয়।”

    চিকিৎসক আরও জানান, সিসিইউতে নেওয়ার পর থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্টগুলো খুব খারাপ না আসলেও, তিনি পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্তও নন। সিসিইউতে তাঁকে অ্যাডভান্সড চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ড রোজ রাতে বৈঠক করে, যেখানে প্রতিটি বিশেষজ্ঞ আলাদা আলাদা রোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

    একইসাথে জানানো হয়, খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান দেশে ফিরে বোর্ডের সভায় সরাসরি অংশ নিচ্ছেন এবং দিনের বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে কাটাচ্ছেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সমন্বয় তিনি করছেন বলে জানা গেছে।

    বোর্ডের অন্য এক সদস্য জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়ার জন্য গুলশানের বাসা থেকে প্রতিদিন বিশেষ খাবার পাঠানো হচ্ছে। তাঁর পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও শর্মিলা রহমান, গৃহপরিচারিকা ফাতেমা এবং স্টাফ রূপা আক্তার সার্বক্ষণিক তাঁর পাশে আছেন। এছাড়া তাঁর ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমাও নিয়মিত হাসপাতালে আসেন। খালেদা জিয়া মাঝেমধ্যে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন।

    অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালের এক ডজন চিকিৎসক এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারকি করছেন।

    এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রা পিছিয়েছে:
    খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিতে ভাড়া করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স মঙ্গলবার আসছে না। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আগে অনুমতি পেলেও, অপারেটর পক্ষ মঙ্গলবারের স্লট বাতিলের আবেদন করেছে। এটি খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা পিছানোর পঞ্চম ঘটনা। বিএনপি নেতাদের বক্তব্য, তাঁর বিদেশ যাওয়া সম্পূর্ণভাবে স্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর নির্ভর করছে এবং এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসক দল।

    জ/ক