[t4b-ticker] সমালোচনার মুখে প্রধান উপদেষ্টার আর্থিক সাহায্য চাওয়ার পোস্ট উধাও - Dhaka Flash



ব্রেকিং নিউজ:
আজ : ১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার প্রকাশ করা : জুলাই ২২, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    সমালোচনার মুখে প্রধান উপদেষ্টার আর্থিক সাহায্য চাওয়ার পোস্ট উধাও

    সমালোচনার মুখে প্রধান উপদেষ্টার আর্থিক সাহায্য চাওয়ার পোস্ট উধাও

    সমালোচনার মুখে প্রধান উপদেষ্টার আর্থিক সাহায্য চাওয়ার এই পোস্ট উধাও

    নিউজ ডেস্ক, ঢাকা ফ্ল্যাশ

    রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসহায়তা চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়।

    পোস্টটিতে বলা হয়েছিল, ‘মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য যাঁরা অর্থ সাহায্য করতে চান, তাঁরা উপরোক্ত ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের উল্লেখিত নম্বরে তা জমা দিতে পারেন। হিসাবের নাম: প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল, চলতি হিসাব নম্বর-০১০৭৩৩০০৪০৯৩, সোনালী ব্যাংক লি., প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় করপোরেট শাখা।’

    ফেসবুকে বেলা ২টার পর পোস্টটি দেওয়া হয় এবং তার কিছুক্ষণ পরই তা সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কী কারণে পোস্টটি মুছে ফেলা হলো—সে বিষয়ে পেজে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

    একই সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও পোস্টটি শেয়ার করেন সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ। তবে এই গ্রুপে পোস্টটি এখনো রয়েছে।

    গতকাল সোমবার ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    সরকারি একটি তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থসহায়তার আহ্বান-সংক্রান্ত পোস্টটির উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—কেন একটি জাতীয় ট্র্যাজেডির পরদিনই জনগণের কাছ থেকে সাহায্যের আবেদন করা হলো, যেখানে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা, ত্রাণ ও চিকিৎসাব্যবস্থার জন্য বরাদ্দ থাকা উচিত।

    এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে এই পোস্ট ও তা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।