আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ; উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা ফ্ল্যাশ
অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করেছে। তবে দলটিকে সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয়নি।
শনিবার (১০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তাঁর সরকারি বাসভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি এবং জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার বিষয়েও সম্মতি দেওয়া হয়।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে সরকারের সিদ্ধান্ত পাঠ করেন, তবে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলেও সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন অনুযায়ী, জুলাই গণহত্যার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সংশোধিত আইনে আদালত এখন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত কোনো দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে পারবে।
এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠনের আন্দোলনের মুখে সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ ও শাহবাগে অবরোধ চলার পর আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করেন।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে, যার মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল এখন রাজনৈতিক দল, তাদের অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, “অবৈধ সরকারের সব সিদ্ধান্তই অবৈধ।”
জ/ক