‘ফিরোজা’য় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
ছবি-সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা ফ্ল্যাশ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছেছেন।
যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। তাঁর সঙ্গে দেশে ফেরেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি তাঁর গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের বাসভবন ফিরোজায় যান। বিমানবন্দর থেকে ফিরোজায় যাওয়ার সময় পথে পথে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী। বেলা ১টা ২৫ মিনিটে তিনি ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান।
এর আগে দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন তিনি। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ বিমানটি (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একই ফ্লাইটে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে নেতাকর্মীদের বাঁধভাঙা উল্লাসের মধ্য দিয়ে বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। নিজের দীর্ঘদিনের নিশান পেট্রোল গাড়ির সামনের সিটে বসেন খালেদা জিয়া। আর তার পেছনেেই দুই ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যার তারেক রহমানের স্ত্রী এবং প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী বিএনপি চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে জড়ো হন। খালেদা জিয়ার গাড়ি বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় তারা স্লোগান ও করতালির মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করেন। নেতাকর্মীদের আবেগঘন উপস্থিতিতে পুরো বিমানবন্দর এলাকা উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে গুলশানের পথে রওনা হলে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।
খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার যুক্তরাজ্য গমনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিলেন। সেটিতেই লন্ডন যান এবং একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরেছেন।