-
ঢাবি ছাত্রীর নগ্ন ছবি পোস্ট করা সাদাত এখন নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতা
-
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তৃতীয় দফার বৈঠকে বসেছে বিএনপি
-
নতুন দল এনসিপি’র আত্মপ্রকাশ কেমন হলো?
-
‘ফিরোজা’য় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
[t4b-ticker]
এস্তোনিয়ার নাগরিক হয়েছেন ডিএনসিসি প্রশাসকের উপদেষ্টা আমিনুল
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ফ্ল্যাশ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. আমিনুল ইসলাম। গত ১৭ এপ্রিল এক অফিস আদেশে এই নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়। তবে তার এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, কারণ দাপ্তরিক নথি অনুযায়ী তিনি ২০২২ সালেই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে এস্তোনিয়ার নাগরিক হয়েছেন।
ঢাকা ফ্ল্যাশের হাতে পাওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের একটি নথি অনুসারে, ড. আমিনুল ইসলাম ২০২২ সালের মার্চে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। নথিতে উল্লেখ রয়েছে, তিনি এস্তোনিয়ার নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগের ফি জমা দিয়েছিলেন এবং সরকার তার আবেদন অনুমোদন করেছে। তার পাসপোর্ট নম্বর (BQ 018—48) এবং জন্মতারিখ (০০/০০/১৯৮০) উল্লেখ করে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ডিএনসিসির অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৫৩ ধারা অনুযায়ী পরামর্শের প্রয়োজনে আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই পদটি অবৈতনিক হিসেবে বিবেচিত হবে।
ড. আমিনুল ইসলাম ঢাকার নাখালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি সুইডেন থেকে মাস্টার্স এবং যুক্তরাজ্য থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি এস্তোনিয়ার এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটিতে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে সিনিয়র লেকচারার হিসেবে কর্মরত।
শিক্ষকতার পাশাপাশি আমিনুল ইসলাম একজন জনপ্রিয় লেখক। তার প্রবন্ধগ্রন্থ ‘লাইফ অ্যাজ ইট ইজ’ ২০২৩ সালে রকমারি বেস্ট সেলার পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া, ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত তার উপন্যাস ‘নিলী নীলিমা’ ও ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’ পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত কলামও লিখে থাকেন।
বাংলাদেশের কোনো সরকারি পদে নিযুক্তির জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাধ্যতামূলক। তাই, আমিনুল ইসলামের বিদেশি নাগরিকত্ব থাকলে তার এই নিয়োগ আইনগতভাবে বৈধ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো এই বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। এই নিয়োগের আইনগত বৈধতা এবং ড. আমিনুল ইসলামের নাগরিকত্বের সঠিক অবস্থান নিয়ে আরও তথ্য অনুসন্ধান চলছে।
জ/ক