মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্পের শঙ্কা
মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প শঙ্কা

নিউজ ডেস্ক, ঢাকা ফ্ল্যাশ
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও একই ধরনের বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে গতকাল শুক্রবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহতের পর আজ শনিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা জানিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পের মতো বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। শনিবার (২৯ মার্চ) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের বিশেষ কিছু অঞ্চল—যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা—ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ভূমিকম্প মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি ও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া নির্দেশনাসমূহ:
১. ভূমিকম্প-সহনীয় নির্মাণ: বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে।
২. ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শক্তিশালীকরণ: পুরোনো ও দুর্বল স্থাপনাগুলো মেরামত ও সংস্কার করতে হবে।
৩. অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: বাণিজ্যিক ও বহুতল ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
৪. ইউটিলিটি লাইন পরীক্ষা: গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইন নিয়মিত চেক করতে হবে।
৫. মহড়া ও প্রশিক্ষণ: ভূমিকম্পের সময় কী করণীয়, তা নিয়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিয়মিত মহড়া করতে হবে।
৬. জরুরি নম্বর সংরক্ষণ: ফায়ার সার্ভিস (১০২), অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ ও হাসপাতালের জরুরি নম্বর সহজে দেখা যায় এমন স্থানে লিখে রাখতে হবে।
৭. স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ: দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
৮. জরুরি সরঞ্জাম মজুদ: বাড়িতে টর্চলাইট, রেডিও, শুকনো খাবার, পানি, ফার্স্ট এইড কিট, হেলমেট ইত্যাদি প্রস্তুত রাখতে হবে।
৯. তদারকি ও সহযোগিতা: সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।
জরুরি প্রয়োজনে ০১৭২২৮৫৬৮৬৭ নম্বরে বা ১০২ হটলাইনে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, এ ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।