বেইজিং, ২৮ মার্চ: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শুক্রবার সকালে বেইজিংয়ের পিপলস গ্রেট হলে এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে গভীর আলোচনা হয় এবং একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি এবং আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চুক্তিটি হলো অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত। এছাড়া স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- ক্লাসিক সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রকাশনা
- সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিনিময় ও সহযোগিতা
- সংবাদ ও গণমাধ্যম খাতে সহযোগিতা
- ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাতে যৌথ উদ্যোগ
পাঁচটি যৌথ ঘোষণা
দুই দেশ পাঁচটি যৌথ ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- বিনিয়োগ বিষয়ক আনুষ্ঠানিক আলোচনার সূচনা
- চীনা শিল্প-অর্থনৈতিক অঞ্চল চালুর ঘোষণা
- মংলা বন্দরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে বাণিজ্যিক চুক্তি
- রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ
- কার্ডিয়াক সার্জারি যানবাহন অনুদান প্রদান
সফরের বিবরণ
ড. ইউনূস বুধবার (২৬ মার্চ) চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীন যান। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে তার বিশেষ ফ্লাইট চীনের হাইনান প্রদেশের কিয়োংহাই বোয়াও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং হাইনান প্রদেশের ভাইস গভর্নর।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফর আগামী ২৯ মার্চ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সফরে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।