[t4b-ticker] ভূমিকম্পের আভাস, রাজধানীতে তাৎক্ষণিক ২ লাখ প্রাণহানির শঙ্কা - Dhaka Flash



ব্রেকিং নিউজ:
আজ : ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা : মার্চ ১০, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    ভূমিকম্পের আভাস, রাজধানীতে তাৎক্ষণিক ২ লাখ প্রাণহানির শঙ্কা

    ভূমিকম্পের আভাস, রাজধানীতে তাৎক্ষণিক ২ লাখ প্রাণহানির শঙ্কা

    ভূমিকম্পের আভাস, রাজধানীতে তাৎক্ষণিক ২ লাখ প্রাণহানির শঙ্কা

    নিউজ ডেস্ক, ঢাকা ফ্ল্যাশ

    সম্প্রতি দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে কয়েক দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ছোট ছোট ভূমিকম্পগুলো বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিচ্ছে। তাদের মতে, বাংলাদেশে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার মতো শক্তি জমা হয়ে আছে। এমন ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপরিকল্পিত নগরী হওয়ায় এখানকার মাত্র ১ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় দুই লাখ মানুষের প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

    দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশ তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। যদিও এটি সরাসরি প্রবল ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে পড়ে না, তবুও বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। সম্প্রতি দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে কয়েক দফা ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, যা বড় ধরনের ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

    কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অঞ্চলে দুটি টেকটোনিক প্লেট সক্রিয়ভাবে চলমান। ইন্ডিয়া প্লেট পূর্ব দিকে এবং বার্মা প্লেট পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বার্মা প্লেটের নিচে ইন্ডিয়া প্লেট ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে, যা ‘সাবডাকশন জোন’ নামে পরিচিত। প্রতি বছর এই প্লেটগুলো প্রায় ১ থেকে ১.৫ মিটার সংকুচিত হচ্ছে। এই সংকোচনের ফলে এখানে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে, যা যেকোনো সময় ঘটতে পারে।

    ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার গণমাধ্যমকে জানান, এ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত স্থাপনার কারণে এখানকার মাত্র ১ শতাংশ ভবন ধসে পড়লেও তাৎক্ষণিকভাবে দুই লাখ মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। এছাড়া ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষ বিভিন্ন ভবনে আটকা পড়তে পারে। পরবর্তীতে খাদ্যাভাব, অগ্নিকাণ্ড এবং অন্যান্য কারণে তাদের একটি বড় অংশের মৃত্যু হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএম) নিতাই চন্দ্র দে সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, বড় ধরনের ভূমিকম্প যেকোনো সময় হতে পারে—এ বিষয়টি আগে থেকেই বলা হয়েছে। এজন্য ঝুঁকি পর্যালোচনা (রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট) এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল এবং নারায়ণগঞ্জের জন্য ঝুঁকি পর্যালোচনা সম্পন্ন করা হয়েছে।

    তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুতি এখনো অপর্যাপ্ত। ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধার কাজ এবং বিভিন্ন কেনাকাটায় মনোযোগ বেশি থাকলেও প্রস্তুতির ক্ষেত্রে এখনো ঘাটতি রয়েছে। ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও বেশি প্রস্তুতি ও সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে তারা মত দিয়েছেন।