[t4b-ticker] চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তৃতীয় বারের মতো শিরোপা জয় ভারতের - Dhaka Flash



ব্রেকিং নিউজ:
আজ : ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সোমবার প্রকাশ করা : মার্চ ৯, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তৃতীয় বারের মতো শিরোপা জয় ভারতের

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তৃতীয় বারের মতো শিরোপ জয় ভারতের

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তৃতীয় বারের মতো শিরোপ জয় ভারতের

    স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা ফ্ল্যাশ

    আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন ভারত। রোববার (৯ মার্চ) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয় নিশ্চিত করে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। এর মাধ্যমে ২০০০ সালে আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের ২৫ বছর পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত।

    ফাইনালে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রান সংগ্রহ করে। তাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন ড্যারিল মিচেল, আর মাইকেল ব্রেসওয়েল করেন ৫০ রান। ভারতের বোলিং আক্রমণে বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    জবাবে ভারতের ইনিংস শুরু হয় দুর্দান্তভাবে। ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের উদ্বোধনী জুটিতে দ্রুত রান আসতে থাকে। রোহিত শর্মা ৭৬ রান করে আউট হলেও তার ইনিংসে ভারতের জয়ের ভিত মজবুত হয়। এরপর শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল ৬১ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। শেষদিকে হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুল মিলে ভারতকে ৪৯.১ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানে পৌঁছে দেন। এর মাধ্যমে ভারত ৬ উইকেটে জয়ী হয়ে শিরোপা জয় নিশ্চিত করে।

    এই জয়ের মাধ্যমে ভারত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতলো। এর আগে ২০০২ ও ২০১৩ সালে টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল ভারত। গতবার পাকিস্তানের কাছে ফাইনালে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করলেও এবার তারা টুর্নামেন্টের সেরা দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে।

    নিউজিল্যান্ডের জন্য ফাইনালে শুরুটা ছিল আশাব্যঞ্জক। তবে ভারতের বোলারদের চাপে ৭৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েল মিলে দলের সংগ্রহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মিচেল ৬৩ রান ও ব্রেসওয়েল ৫০ রান করলেও শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৫১ রানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ভারতের বোলাররা নিয়মিত উইকেট শিকারের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডকে বড় স্কোর করা থেকে বিরত রাখে।

    ফাইনালে ভারতের জয়ে রোহিত শর্মার নেতৃত্ব ও দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্স ছিল চাবিকাঠি। রোহিত শর্মা শুধু দলকে নেতৃত্বই দেননি, ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও ভারতের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।

    এই জয়ের মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। নিউজিল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে তারা তাদের দক্ষতা ও মানসিক শক্তির প্রমাণ দিয়েছে। এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের পারফরম্যান্স ছিল ধারাবাহিক ও প্রভাবশালী। গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত তারা দারুণ ক্রিকেট উপহার দিয়েছে।

    ফাইনালে ভারতের জয়ে সমর্থকরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের জয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ক্রিকেট বিশ্লেষকরা ভারতের পারফরম্যান্সকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতের টুর্নামেন্টে তাদের আরও ভালো করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    এই জয়ের মাধ্যমে ভারতীয় ক্রিকেট দল আবারও তাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে দলটি এখন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পুনরুদ্ধার করেছে এবং ভবিষ্যতের টুর্নামেন্টগুলোর জন্য আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে।

    নিউজিল্যান্ডের জন্য এবারের টুর্নামেন্টে ফাইনালে পৌঁছানো একটি বড় অর্জন হলেও শেষ মুহূর্তে শিরোপা জয়ে ব্যর্থতা তাদের জন্য কিছুটা হতাশাজনক। তবে তাদের পারফরম্যান্সও প্রশংসার দাবিদার। ড্যারিল মিচেল, মাইকেল ব্রেসওয়েল ও অন্যান্য খেলোয়াড়রা টুর্নামেন্টে দারুণ অবদান রেখেছেন।

    সামগ্রিকভাবে, আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৩ ছিল রোমাঞ্চকর ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ। ফাইনালে ভারতের জয় টুর্নামেন্টকে সফলভাবে শেষ করেছে এবং ক্রিকেট বিশ্বে তাদের আধিপত্যের বার্তা দিয়েছে।