[t4b-ticker] কোরান শিখতে গিয়ে ইমামের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী! - Dhaka Flash



ব্রেকিং নিউজ:
আজ : ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার প্রকাশ করা : মার্চ ৯, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    কোরান শিখতে গিয়ে ইমামের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী!

    কোরান শিখতে গিয়ে ইমামের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী!

    ইমামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

    নিউজ ডেস্ক, ঢাকা ফ্ল্যাশ

    সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া মসজিদের হুজরা খানায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম শফিকুর রহমান (৪২) কে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত শফিকুর রহমান সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার বানী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমজান মাস উপলক্ষে ওই মসজিদে পবিত্র কোরআন শিক্ষার বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করা হয়। সেখানে কোরআন শেখার জন্য নিয়মিত আসত ধর্ষণের শিকার কিশোরীটি। অভিযোগ রয়েছে, ইমাম শফিকুর রহমান কিশোরীটিকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে যোহরের নামাজের বিরতিতে মসজিদের অন্যান্য ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা বেরিয়ে গেলে শফিকুর রহমান কৌশলে কিশোরীটিকে মসজিদের হুজরা খানায় ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়। ভীতসন্ত্রস্ত কিশোরীটি ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে এবং কোরআন শিক্ষার ক্লাসে যাওয়া-আসা চালিয়ে যায়।

    কিন্তু শনিবার (৮ মার্চ) ইমাম শফিকুর রহমান আবারও একই কৌশলে কিশোরীটিকে হুজরা খানায় নিয়ে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে। এরপর রবিবার (৯ মার্চ) বিকালে কিশোরীটি বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে পরিবারের সদস্যরা এলাকাবাসীকে বিষয়টি অবহিত করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত ইমাম শফিকুর রহমানকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

    ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ইমাম শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”

    এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মসজিদের মতো পবিত্র স্থানে এমন জঘন্য অপরাধের ঘটনায় মর্মাহত ও হতবাক হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে এবং তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হবে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইমাম শফিকুর রহমান বেশ কিছুদিন ধরে ওই মসজিদে ইমামতি করছিলেন। তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠেনি। তবে এবার তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের এমন জঘন্য অভিযোগ এলাকাবাসীকে হতবাক করেছে।

    এদিকে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীটিকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের আলোকে আরও বিশদ তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।