[t4b-ticker] ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ ট্রাম্পের - Dhaka Flash



ব্রেকিং নিউজ:
আজ : ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা : মার্চ ৪, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ ট্রাম্পের

    ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ

    ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ

    নিউজ ডেস্ক, ঢাকা ফ্ল্যাশ

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদান স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপটি এসেছে এমন এক সময়ে যখন রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ১৮০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে। তবে ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স অভিযোগ করেছেন যে, এই বিশাল সহায়তার জন্য জেলেনস্কি যথেষ্ট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি।

    এই সিদ্ধান্তটি নেওয়ার আগে ওভাল অফিসে একটি বৈঠক উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডার মধ্যে ভেস্তে যায়। এর মাত্র কয়েকদিন পরেই ট্রাম্প ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা স্থগিত করার ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান যে, ট্রাম্প একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর দিকে মনোনিবেশ করছেন এবং তিনি চান যে জেলেনস্কিও এই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।

    এই কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভূমিকা রাখছে কিনা তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনকে প্রদত্ত মার্কিন সহায়তা স্থগিত ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যতক্ষণ না রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়, ততক্ষণ ট্রাম্পের এই আদেশ কার্যকর থাকবে।

    এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউক্রেনকে কংগ্রেসের অনুমোদিত সহায়তা আটকে রাখার প্রায় ৫ বছর পর সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হলো। উল্লেখ্য, এর আগে ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন।

    ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে, তিনি একদিনের মধ্যে লড়াই বন্ধ করতে পারেন। তবে যুদ্ধ নিয়ে জেলেনস্কির প্রতি ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন যে, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালে শান্তি বজায় রাখার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিশ্বাস করা যেতে পারে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে পুতিনের প্রশংসাও করে আসছেন।

    এর আগে সোমবার ট্রাম্প জেলেনস্কির সমালোচনা করে বলেন যে, যুদ্ধের সমাপ্তি সম্ভবত এখনও অনেক দূরে। অন্যদিকে, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউসের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন সম্পর্কের বিষয়ে ইতিবাচক প্রস্তাব দেওয়ার চেষ্টা করেন জেলেনস্কি। এসময় তিনি বলেছিলেন যে, যুদ্ধ অবসানে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সময় লাগবে।

    ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইউক্রেনের সামরিক অবস্থান দুর্বল হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। একইসঙ্গে, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে জেলেনস্কি আগেই বলেছেন যে, যুদ্ধের সমাপ্তি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।

    এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের গতিপথ কেমন হবে তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত করেছে। বিশ্বজুড়ে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নিয়ে নজর রাখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।