নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা ফ্ল্যাশ
মুক্তিযোদ্ধা কোটার মতো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন। আগের নীতিমালায় শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য পাঁচ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত ছিল, কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও এই কোটা সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।
গত ২০শে ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এই সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে। রোববার জারি করা এই আদেশে স্কুল ও কলেজ অধ্যক্ষদের নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এ আহত বা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এই কোটা সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের গেজেটের সত্যায়িত কপি সংযুক্ত করতে হবে। ভর্তির সময় সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্রের মূল কপিও প্রদর্শন করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে আরও বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত বা নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের গেজেট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা হতে হবে। প্রমাণপত্র যাচাইয়ের পরই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
এছাড়া, আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কোটা সুবিধার জন্য উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট আসন মেধা তালিকা থেকে পূরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই এই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
এদিকে কোটাবিরোধী আন্দোলন করে কোটা আদায় করে নেওয়ার এই বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পক্ষে বিপক্ষে নানা মতামত তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে।