[t4b-ticker] বাংলাদেশের অজানা প্রতিষ্ঠানে মার্কিন সহায়তা: ট্রাম্পের প্রশ্ন - Dhaka Flash



ব্রেকিং নিউজ:
আজ : ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার প্রকাশ করা : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫

  • কোন মন্তব্য নেই

    বাংলাদেশের অজানা প্রতিষ্ঠানে মার্কিন সহায়তা: ট্রাম্পের প্রশ্ন

    নিউজ ডেস্ক, ঢাকা ফ্ল্যাশ

    আবারো জো বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এবার তার অভিযোগ, জো বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের একটি নামবিহীন প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৪৮ কোটি টাকা) বরাদ্দ করেছিল।

    স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের কর্ম অধিবেশনে তিনি এ দাবি তুলে ধরেন। হোয়াইট হাউসের ইউটিউব চ্যানেলে তার এই বক্তব্যের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।

    ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাইডেন প্রশাসন ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল। এই অর্থ একটি এমন প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছিল, যার নাম কেউ শোনেনি। শুধু তাই নয়, যেখানে মাত্র দুজন কর্মী কাজ করে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ভাবুন তো, এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে মাত্র দুজন লোক কাজ করে। সেটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলারের চেক পেয়েছে! এ ধরনের অর্থ ব্যয়ের কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।”

    ট্রাম্পের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মার্কিন সরকারি সংস্থা ইউএসএআইডি এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের বৈদেশিক অনুদান সাধারণত গণতন্ত্র ও সুশাসন উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। ট্রাম্প আরও মজা করে বলেন, “এই অর্থ যারা পেয়েছে, তারা বোধ হয় এখন ধনী হয়ে গেছে। আশা করি, তারা শিগগিরই কোনো বড় বিজনেস ম্যাগাজিনের কভার স্টোরিতে আসবে!”

    ক্ষমতায় আসার পর সরকারি ব্যয় সাশ্রয়ের নানা উদ্যোগ নেন ট্রাম্প। উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইলন মাস্কের পরিচালিত সরকারি সক্ষমতা বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বা ডোজে) সম্প্রতি একাধিক দেশের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ২৯ মিলিয়ন ডলার সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ডোজের তালিকায় রয়েছে মোজাম্বিক, কম্বোডিয়া, সার্বিয়া, মলদোভা, নেপাল ও মালির মতো দেশগুলোতেও। এসব দেশেও মিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে এখন সেগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পেছনে মার্কিন ডিপ স্টেটের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক বৈঠকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

    এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রশাসনের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত এবং অভিযোগ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, বৈদেশিক সাহায্য এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে পারে।

    এই ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির দিকনির্দেশনা ইঙ্গিত করে।  ভবিষ্যতে এইসব বিষয় নিয়ে আরো কী প্রতিক্রিয়া আসতে পারে সেটি দেখার অপেক্ষা।