৩ সচিবসহ ২১ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হলো
সচিবালয়ে প্রবেশে কঠোর নিরাপত্তা, নতুন নীতিমালা জারি

নিউজ ডেস্ক, ঢাকা ফ্ল্যাশ
অন্তর্বর্তী সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের সময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ২১ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। এদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান রয়েছেন। এছাড়া যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, জাকিয়া সুলতানাকে জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। ধনঞ্জয় কুমার দাসকেও একই অভিযোগে এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে আবু হেনা মোরশেদ জামানকে অবসরে পাঠানোর কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান জানান, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিরা নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছিলেন। ইতিমধ্যে ৪৩ জনকে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করা হয়েছে। যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের কম, তাদের ওএসডি করা হচ্ছে এবং যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছরের বেশি, তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায়। এদের মধ্যে অধিকাংশই অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের। এদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হাবীব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সায়লা ফারজানা, রাব্বী মিয়া, এস এম আলম ও তন্ময় দাস প্রমুখ।
এর আগে বুধবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরে কর্মরত যুগ্ম সচিব ও সমপর্যায়ের পদে থাকা ৩৩ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়। এরা ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। একই কারণে আরও ১২ কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে।