সমঝোতায় ধামাচাপা দেওয়া হয় বড় দুর্নীতি: দুদক চেয়ারম্যান
দুদক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা ফ্ল্যাশ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, ছোটখাটো দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরা হলেও সমঝোতার মাধ্যমে বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। ঠিকাদার, দপ্তর প্রধান বা সাংবাদিকরা এসব বড় দুর্নীতির খবর প্রকাশ করেন না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দুর্নীতির খবর যেন কোনোভাবেই গোপন বা লুকানো না হয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা এ ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা রাখবেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দুর্নীতি দমন কমিশনের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমাদের প্রতিটি জেলায় কার্যালয় নেই, এটি একটি বাস্তবতা। আমরা বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির মুখোমুখি হই। সেগুলো কীভাবে কমানো যায়, তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টার গতকালের ভাষণের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল দুর্নীতি বিষয়ক আলোচনা। আজকের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে সবচেয়ে বড় বার্তা ছিল, আগের দুর্নীতি দমনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে যেন দুর্নীতি না ঘটে, সেদিকে নজর দেওয়া।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “দুদকের মূল লক্ষ্য হলো বর্তমান দুর্নীতি বন্ধ করা এবং পুরনো দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা। বর্তমানে দুদক তাদের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সময় পুরনো দুর্নীতি নিয়ে ব্যয় করে। তবে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী, পুরনো দুর্নীতি নিয়ে ২০ শতাংশ, বর্তমান দুর্নীতি নিয়ে ৩০ শতাংশ এবং ভবিষ্যতে দুর্নীতি প্রতিরোধে ৫০ শতাংশ সময় ও সম্পদ ব্যয় করা উচিত। আমরা এই নির্দেশনা মেনে চলছি এবং জেলা প্রশাসকদেরও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ এবং সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন প্রমুখ।