নতুন ছাত্রসংগঠন গঠন করছে সমন্বয়কদের একাংশ
নতুন ছাত্র সংগঠনের ঘোষণা বৈষম্যবিরোধীদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা ফ্ল্যাশ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সংগঠকদের উদ্যোগে একটি নতুন স্বতন্ত্র ছাত্রসংগঠন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সমন্বয়কদের একাংশ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ থেকে শুরু হচ্ছে জনমত জরিপ ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম, যা আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে।
সংগঠনটির নাম ও কাঠামো নির্ধারণে শিক্ষার্থীদের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানান সংগঠকরা। সংগঠনটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র হবে এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এর নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন এই সংগঠনের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে এই সংগঠন গঠিত হবে। আজ ও আগামীকাল অনলাইন এবং অফলাইনে জনমত জরিপ ও সদস্য সংগ্রহ চলবে। মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুথ বসিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।”
সংগঠনটির মূল লক্ষ্য হবে শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা এবং লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিরোধিতা করা। সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং এর অর্থনৈতিক কাঠামো পরিচালিত হবে সদস্যদের চাঁদার মাধ্যমে। সংগঠনের মূল স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’।
সমন্বয়ক তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, “সংগঠনটির নাম ও গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হবে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে। এটি শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রসংসদের পক্ষে অবস্থান নেবে এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডারে ছাত্রসংসদকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কাজ করবে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, হাসিবুল ইসলাম, রাফিয়া রেহনুমা হৃদি প্রমুখ।
প্রস্তাবনা:
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির মৌলিক প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে আদর্শিক দ্বন্দ্বের বাইরে গিয়ে মধ্যমপন্থী ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি গড়ে তোলা, নারীর রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আপসহীন অবস্থান নেওয়া। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংসদ কাঠামো পুনর্বহালের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।