নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা ফ্ল্যাশ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্র এবং সরকারের মধ্যে পার্থক্য থাকা জরুরি। তিনি বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিজমের সময় এই ধারণাগুলো একাকার হয়ে গিয়েছিল। আমাদের এই ধারণাগুলোকে আলাদা করতে হবে। প্রশাসন ক্যাডারের লোকেরা রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য কাজ করবে। তাদের নিরপেক্ষতা, সততা ও পেশাদারিত্ব বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাশা করে। আমরা এমন মর্যাদাবান ও ব্যক্তিত্ববান কর্মকর্তা দেখতে চাই।’
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল বৈষম্যহীন বাংলাদেশ এবং মেধাভিত্তিক ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই যাত্রা এখনো শুরু হয়েছে মাত্র, এবং এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই সবাই এই যাত্রায় আমাদের সঙ্গে থাকুন।’
তিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার নেতিবাচক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনে ইউএনও-ডিসিরা কীভাবে ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতা করেছেন, তা আমাদের অজানা নয়। আমরা চাই, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি যেন না ঘটে। প্রশাসনকে সরকার যেন দলীয়করণ না করে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও রাজনৈতিক ও ন্যক্কারজনক কাজে জড়ানো উচিত নয়। এই প্রতিশ্রুতি তাদের জাতির কাছে দিতে হবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা সবাই এই দেশের সন্তান। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে। সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা আমরা এখনো পুরোপুরি পূরণ করতে পারিনি, তবে আমরা সদিচ্ছাবান। আমাদের এই সদিচ্ছা সবসময় প্রকাশ করতে হবে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আসবে নির্বাচনের সময়। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন সুষ্ঠু নির্বাচন দেখেনি। প্রশাসনও ভুলে গেছে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয়। এটি আমাদের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্য প্রশাসনিক সংস্কার ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। তার মতে, প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে জনগণের সেবায় নিবেদিত হতে হবে।